রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) চসিকের ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে চলমান পরিচ্ছন্নতা অভিযান পর্যবেক্ষণকালে মেয়র বলেন, “আমি প্রতিটি ওয়ার্ড ঘুরে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। তবে এখনো লক্ষ্যের মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। যখন এই হার ৮০-৯০ শতাংশে পৌঁছাবে, তখনই আমি সন্তুষ্ট হব।”
মেয়র পূর্ববর্তী সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু কর্মীর কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, “কিছু কর্মচারী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। সেবা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার এবং আমরা ফাঁকিবাজ কর্মচারীদের চিহ্নিত করেছি। তাদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান উন্নত করা হবে। দায়িত্বে গাফিলতি করলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মশা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, “মশার ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। তবে ওষুধ স্প্রে করার কাজে সঠিকতা নিশ্চিত করতে হবে। শীতকালে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়তে পারে, তাই ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত।”
পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষে মেয়র পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের আরবান হেলথ সেন্টার পরিদর্শন করেন। তিনি ঘোষণা দেন, ১০ শয্যার একটি মাতৃসদন সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, “প্রতিটি ওয়ার্ডে মাতৃসদন সেন্টার চালু হলে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।”
আরবান হেলথ সেন্টারে রোগীর সংখ্যা কম থাকায় হতাশা প্রকাশ করে মেয়র বলেন, “সুন্দর স্থাপনায় এত কম রোগী আসা দুঃখজনক। রোগীর সংখ্যা ১০০-২০০ তে উন্নীত করতে প্রচারণা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি।”
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমি জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।”
আপনার মতামত লিখুন :