সাত বছরের সাজা মাথায় নিয়ে আত্মসমর্পণ, অতঃপর কারাগারে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডঃ মাহমুদুর রহমান।


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ /
সাত বছরের সাজা মাথায় নিয়ে আত্মসমর্পণ, অতঃপর কারাগারে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডঃ মাহমুদুর রহমান।

সাত বছরের সাজা মাথায় নিয়ে আত্মসমর্পণ, অতঃপর কারাগারে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডঃ মাহমুদুর রহমান।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভয়েস ফর জাস্টিস লাইভ ২৪.কম
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪:১৫ পিএম

সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা এবং আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সাহসী সম্পাদক ডঃ মাহমুদুর রহমান বিগত সরকারের আমলের সাজা মাথায় নিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন । আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের মাধ্যমে হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্র মামলায় বিগত সরকারের আমলে সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডঃ মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর  নির্দেশ দেন।

আজ রোববার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  মাহবুবুল হক এই নির্দেশ দেন।

শুনানিতে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, “এই মামলা কার জন্য, কখন করা হয়েছে-এটা আমরা নাই বললাম। এ মামলাটির ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায়। সেখানকার আইন ব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী, সেটা আমরা জানি।

“কারসাজি করে মামলার ঘটনাটি বাংলাদেশে দেখিয়ে একটি সাজানো মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই মামলায় মাহমুদুর রহমান সাহেবকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১২৩ ধারায় তাকে আরো দুই বছরের সাজা দেয়া হয়েছে, যেটা সহযোগী হিসেবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান সহ আরো দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “মাহমুদুর রহমান আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তিনি বিদেশে ছিলেন, আইন মান্য করে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি আইনের প্রতি এতই শ্রদ্ধাশীল- তিনি যখন কারাগার থেকে আদালতে আসতেন, তিনি বিশেষ সুবিধায় গাড়ি না নিয়ে সাধারণ প্রিজন ভ্যানে করেই আদালতে আসতেন।

গতবছরের ১৭ ই আগস্ট অত্র মামলায় মাহমুদুর রহমান, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান সহ ৫ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন এই আদালতের সাবেক বিচারক আসাদুজ্জামান নূর। পৃথক দুটি অভিযোগে এই দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন – যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার ( জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর এই মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন।

গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় – ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোন সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন সহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে , যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।